অবন্তী অন্তরা
ফটোগ্রাফির হাতেখড়ি বলতে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়টাতেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক স্যোসাইটির সদস্য ছিলাম বলতে গেলে সংগঠনটির শুরুর দিকেই। নাইকন ক্যামেরা কিনে ছবি তোলা শুরু করি।
পেয়ে বসে ফটোগ্রাফির নেশা। আজ এখানে তো কাল অন্য কোথাও। যদিও এই নেশা পেশাতে রূপান্তরিত করার ইচ্ছে ছিলনা কখনই। পুরোটাই করেছি শখের বশে। তখন দৃক গ্যালারিতে একটি এক্সিবিশনেও অংশ নিই।
মাঝখানে পড়াশোনা তারপর ক্যারিয়ার, পরিবার, সন্তানের জন্ম এ সব মিলিয়ে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড দুদেশের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করতেই পার হয়ে যায় বেশ কিছুটা সময়। এখন পুরোপুরিভাবেই নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছি বলা যায়। তবে ফটোগ্রাফির নেশাটা আবারও পেয়ে বসে কিছুটা।
৬ জানুয়ারি ছিল ছোট বোন তিসির দশম ম্যারেজ এনিভার্সারি। সেই উপলক্ষ্যে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ল্যাভেন্ডার বাগানে যাই তিসি, তার হাজব্যান্ড ইশফাক ও তাদের ছেলে টপ্পা সহ। ল্যাভেন্ডার বাগানটি যেন একটু বাড়াবাড়ি রকমেরই সুন্দর। তার রঙের ছড়াছড়ি আর মোহনীয় সুবাস যে কাউকে মাতাল করে দিতে পারে, ডুবিয়ে রাখতে পারে ভালোবাসায়।
ফুলে ফুলে মৌমাছি আর ঝাঁক ঝাঁকে নানা পাখির কলকাকলীতে বাগানটি যেন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল। সাথে ছোটবোনের ম্যারেজ ডে। ওদের ছুটোছুটি, একটুকু ভালোলাগা আর ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো ফ্রেমবন্দী করে নিতে দেরি করলাম না।
এই বাগানের স্থায়িত্ব দুই মাস। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। আমরা গিয়েছি প্রায় শেষের সময়টাতে। তার কিছুদিন পরই কেটে ফেলা হবে। এই ল্যাভেন্ডার থেকে সাবান, তেল, শ্যম্পু, লোশন আইসক্রিম সহ আরো অনেক কিছু তৈরি হয়।
অবন্তী অন্তরা, নিউজিল্যান্ড থেকে
Such a colorful life and description ♥️♥️ ভালোবাসা অবিরাম
চমৎকার সব ছবি। আবারও ধন্যবাদ আপুন।
খুব সুন্দর ছবি ও লেখনী
অনেক শুভেচ্ছা ❤️
অনেক ধন্যবাদ।