2

 এ যেন শুভ্র গালিচায় মোড়ানো উদ্যান

Share

শম্পা চৌধুরী

ছবির পিছনের গল্পে আজ জানাব আলবার্টা ভ্রমণের কিছু অভিজ্ঞতা। প্রবাসীদের মধ্যে যদি ভ্রমণ-পিপাসু মন থাকে, তাহলে বাজেট এয়ারওয়েজের প্রমোশনের দিকে থাকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি । কখন হাতের নাগালের মধ্য প্লেনের টিকেট পাওয়া যায়।

ক্যালগারি থেকে ব্যানফে যাওয়ার পথে

এমনই প্রহর গুনতে গুনতে হাতের নাগালে পেয়ে গেলাম আলবার্টা ভ্রমণের প্লেনের টিকিট। মন্ট্রিয়াল থেকে ছোট ভাইয়ের ফোন কল, ব্যাগ গোছাও ,ঈদের পরের দিন আমাদের  ফ্লাইট। কি আর করা, স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাক্স পেটারা গুছিয়ে দিলাম উড়াল।

লেক লুইস

আলবার্টার ব্যানফে সাধারণত সবাই যায় মে মাসের পরে। কারণ, পুরো শীত জুড়ে ব্যানফের সব লেকের পানি জমে বরফ হয়ে যায়।

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে লেক লুইসের মাঝে পর্যটকদের আনাগোনা

তখন আর লেকের পানিতে আকাশ-পাহাড়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়না। তবে এই মে মাসে আলবার্টার অন্য এক রূপ দেখলাম। নীল সবুজের মাখামাখি ছিলনা। ছিল শুভ্রতার নরম আবেশ।

লেক লুইসের মধ্যেখানে আমার ফটোগ্রাফার মডেল

লেক লুইস কে দেখে মনে হচ্ছিল, এ যেন শুভ্র গালিচায় মোড়ানো উদ্যান। শুধু লেক লুইস নয়, লেক পিটা, লেক বো, হেক্টর লেক, সব একই রূপে সজ্জিত।

পিটা লেক/বো সামিটে পৌঁছতে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কারণ এটাই ছিল কানাডাতে আমার প্রথম হাইক এবং প্রথম ক্র্যাম্পনস পরা।

পিটা লেক/বো সামিটে উঠার পথে

পিটা লেক/বো সামিটে পৌঁছাবার পর, আবার নতুন করে পাহাড়ের প্রেমে পরলাম। নীল, সাদা আর সবুজের এমন মিলবন্ধন, খুব কমই চোখে পরে।

পিটা লেক/বো সামিট

পিটা লেক/বো সামিট

ব্যানফের আর একটি আকর্ষনীয় জায়গা হচ্ছে , সালফার পাহাড়। সমুদ্রতট থেকে প্রায় আট হাজার ফিট উচ্চতা। সালফার পাহাড়ের চূড়ায় যখন গিয়ে পৌঁছালাম, নীচের শহরটাকে দেখে মনে হচ্ছিল, আমি স্যাটেলাইট ম্যাপের ভিউ দেখছি।

সালফার পাহাড় চূড়া থেকে ব্যানফ শহর
সালফার পাহাড় চূড়া থেকে ব্যানফ শহর
সালফার পাহাড় চূড়া থেকে ব্যানফ শহর

সব ঘোরাঘুরি করে যখন কটেজে ফিরলাম, তখন মনে হচ্ছিল শরীর আর চলবেনা। কিন্তু হলো বিপরীত। নীল স্বচ্ছ গরম পানি ভর্তি হট টাব।

গরম পানির টাব আর পাহাড়-আকাশের মিতালী

দৃষ্টির সামনে সারিবদ্ধ পাহাড় আর নীল আকাশ। এই প্রশান্তির কথা লিখে প্রকাশ করা যায় না।

কটেজের সামনের ভিউ
কটেজের ডেক থেকে সামনের ভিউ

শম্পা চৌধুরী,শোখিন আলোকচিত্রী, অন্টারিও (কানাডা)