ইবতিসাম নাসিম মৌ
আজ সারাটা দিন কালো মেঘের আস্তরে ঢাকা ছিলো আকাশ। সেখানে থেকে থেকে উড়াল দিচ্ছিলো এক বাজপাখি। যেখানে এক চিলতে আলো ছিলো সেখানেই মাথা গুঁজে বসে ছিলো বিবস্ত্র প্রায় দ্রৌপদী। লজ্জায় ক্লান্ত ঝলসানো শ্যামা সুন্দরী অবশেষে “ভাই” সম্বোধন করে অভিশাপ দিলো তার পান্ডবকে। বেশ করেছে। স্বামী যখন টেনে খুলে রক্তকমলের লজ্জা ভুষণ তখন সে পাড়াতো দাদাই বটে। দ্রৌপদীর নাম কখনো খায়রুন সুন্দরী, কখনো রেশমী,কখনো বা মৌসুমী। ঘুরে ফিরে একই ট্র্যাজিডি। বিয়োগান্তক সমাপ্তি ছাড়া নাকি ছবির কাটতি ভালো হয়না। জীবনের শেষ দৃশ্যেও থাকে সেই সমাপ্তি। কিন্তু একটি সম্পর্কের বিচ্ছিরি সমাপ্তি হওয়া কতটা জরুরি? কিংবা মরে যাওয়া একটি সম্পর্ক টেনে নেয়ার এই যে অপারগতা সেই কষ্টের শেষ কোথায়?
আজ সারাটা দিন এসব ওলট পালট ব্যাথায় চিড় ধরেছে “পাছে লোকে কি বলে” চিন্তার ডায়েরীতে। নারী। হেঁশেল থেকে ব্রোথেল, কালো বোরখা থেকে রুপালী পর্দা। কোথাও সে বলার অধিকার রাখেনা- না,এটা ঠিক নয়। সারাটা দিন দেখলাম,নক্ষত্রের কোটি ভক্ত কি সরস জিভে তার চরিত্র চেটে দিচ্ছে নোংরামির থুতু দিয়ে।শিক্ষিত,অশিক্ষিত,ভক্ত, ভক্ত নয়,মরদ,না মরদ কি দেদারসে গাংগুবাঈ বানিয়ে দিচ্ছে গগনের তুঙ্গে থাকা সুপারস্টারকে…অথচ ঘটনার সূত্রপাত ওমর সানি আর কথিত ভিলেন জায়েদ খান ঈমানী বান্দা হিসেবে মৃদু তাচ্ছিল্য পাচ্ছেন। বিষয়টি সত্যিই দারুণ উপভোগ্য। ৯০ এর দশকে সালমান খান আর মৌসুমী। আহ…সে কি রসায়ন। একটি ঘটনা বলি। ৯৩ সালে যখন কেয়ামত থেকে কেয়ামত মুক্তি পায় তখন সদ্য ক্লাস নাইনে উঠেছি। একই স্কুলে পড়তেন ইরিন জামান অর্থাৎ মৌসুমীর ছোট বোন। তিনি তখন এস,এস,সি পরীক্ষার্থী। সারা স্কুল তার পেছন পেছন হাটে। সুপারস্টারের বোন বলে কথা। তারও ভাব সপ্তমীতে।
একদিন হলো কি, ছুটির পর স্কুলের গেটের বাইরে হল্লা পরে গেলো। সবাই হুড়োহুড়ি, রেশমী এসেছে। কে রেশমী, কোথাকার রেশমী বুঝে না বুঝে উঁকি দিয়ে দেখলাম,আটোসাটো কালো টপস আর ফর্মাল প্যান্ট পরা একটি শ্যামলা বরণ মেয়ে গাড়ির গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে। চোখে কালো সানগ্লাস। সামনে আনা একঢাল চকচকে রেশমী কালো চুল। ব্যস, আর কিছু মনে পড়ছে না। তখনো বুঝিনি ওটা আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা। পরে শুনে আমিতো আকাশ থেকে পড়লাম। পর্দা আর বাস্তবে তো মিললো না!!!!!! বাস্তবে তাকে আমার কাছে নন্দিতা দাসের মত লেগেছিলো। অনিন্দ্য মায়াবতী সে মুখ। এরপর তার সাজসজ্জা আইকনিক হলেও সেই যে আমার ট্যান অপ্সরা তাকে আমি আর খুঁজে পাইনি। বাণিজ্য তাকে চরম ভাবে বাণিজ্যিক বানিয়েছে। টানা হ্যাচড়া করে ফ্যান ফলোয়ারের ভিড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা করেছে। কিন্তু বন্ধু দিয়েছে কি? অসচেতন ভাবে আইসক্রিম খাবার স্বাধীনতা,চলচ্চিত্রে টিকে থাকার রাজনীতিতে না পরা ,অপাত্রে ভালোবাসা দানের অনুশোচনা বা হঠাৎ কাউকে ভালো লেগেও মুখ ফুটে বলতে না পারার যন্ত্রনা তাকে কি স্পর্শ করেনি কখনো????
আমার কাছে বরাবরই এই তারকাকে বিষন্ন সুন্দরী লেগেছে। কখনো মনে হয়েছে “উপায় নাই গোলাম হোসেন”। ওমর সানির সাথে যত সাক্ষাতকার আমি দেখেছি কোথায় যেনো অস্বস্তি ঠাওর করতাম। একি আমার দৃষ্টিভ্রম ছিলো? একবার হোটেল রুমে বা বেডরুমে মৌসুমী সাদা কুইল্ট মুড়িয়ে ঘুমাচ্ছেন তখন ওমর সানি একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন বা লাইভ দিচ্ছিলেন। সেখানে মৌসুমীর এলোমেলো চুল। আমার ওভাবে দেখতে ভালো লাগেনি। কারণ এর আগে এমন ইনফরমাল পোস্ট কখনই আসেনি। আমার মনে প্রথম প্রশ্ন ছিলো, মৌসুমীর কাছে অনুমতি নেয়া হয়েছিলো কি? হতে পারে তিনি তার স্বামী। কিন্তু তার স্ত্রী এখন বিছানায় এবং বেডরুমে। এই অংশটুকু শেয়ার করার জন্য স্ত্রীর গ্রিন সিগনাল অবশ্যই জরুরী। আর সেলিব্রেটি না হলেই বা কেউ যখন একান্ত ব্যক্তিগত কিছু পাবলিকলি দেখাবো সেখানে ন্যূনতম সম্মতি থাকাতো অত্যাবশকীয়। আমি জানিনা, পরে ঐ কারণে তাদের মধ্যে কোন অশান্তি হয়েছিলো কিনা। কারণ, মৌসুমী প্রচন্ড পরিপাটি একজন মানুষ। তাই পুরোদস্তুর এলোমেলো মাথার উদ্ভট চাহনী তার ইমেজকে যে হাস্যকর অবস্থায় ফেলেছে তা তার ভালো লেগেছিলো কিনা কে জানে।
রান্নার একটি অনুষ্ঠান করতেন মৌসুমী। সেখানে মাঝে মাঝেই ওমর সানি আসতেন। তাকে খুব ডমিনেটিং আর মৌসুমিকে খুব গৃহস্থালী রমনী হিসেবে দেখা যেতো। এটা কি ইচ্ছাকৃত প্রোগ্রাম ডিজাইন কিনা সেটা উনারাই ভালো বলতে পারবেন। তাও যদি হয় তবে স্ত্রী বলতে স্বামীর জন্য রান্না করে বেড়ে খাওয়ার বাইরেও ভাবা যেতো। এমনও হতে পারতো মৌসুমী শুটিং এ বেরুচ্ছেন আর ওমর সানি তার জন্য রান্না করছেন? যদি বলি,আর্থিক যোগ্যতার বিবেচনা কিংবা জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে মৌসুমী বরাবরই সানির চেয়ে এগিয়ে তাই স্ত্রী হিসেবে তারই এই সম্মান পাবার যোগ্য। তাহলেও কথাটা কানে বাজার মতই। কারণ একটি সম্পর্ক টাকা পয়সার উপর নির্ভর করার কথা নয়। যেমনটি লিংগ বৈষম্য টানলে সম্পর্ক আর বরাবর থাকেনা।
যাহোক,ক্যারিয়ারে পতনের কারণে হীনমন্যতায় ভোগা সানিকে মানসিক এবং আর্থিক সমর্থন দিতে স্ত্রী মৌসুমী কখনো কার্পণ্য করেননি বলেই শুনেছি। বিভিন্ন টকশোতে আসলে ওমর সানিই কথা বলেছেন বেশী। তার অতীতের জনপ্রিয়তার কথা,মৌসুমী কতটা বাধ্য স্ত্রী সেই কথা,মা হিসেবে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাওয়া মৌসুমীর কথা বা বাড়ির বৌ হিসেবে মৌসুমীর শতভাগ পাশ করার কথা আমার কাছে বরাবরই ক্লিশে লেগেছে। মনে হয়েছে, তবে কি শিল্পী হিসেবে মূল্যায়ন নেই এই মানুষটির? কেবলই একজন নারী তার প্রতিটি সম্পর্ক রক্ষায় কতটা পারঙ্গম সেটাই তার মূল যোগ্যতা? আমি একবারও ওমর সানিকে বলতে শুনিনি, মৌসুমীর পরের কোন প্রজেক্ট নিয়ে আগ্রহ দেখাতে, তার অভিনীত কোন চরিত্র বা সংলাপকে ধারণ করতে বা শিল্পী হিসেবে একজন কো-আর্টিস্টের রসায়নের জায়গাটি তুলে ধরতে। গল্পের আগাগোড়া থাকে ঘুম পাড়ানী মাসি পিসির চর্চা। আমি শুধু মোনালিসার এক চিলতে বাঁকা হাসি দেখতাম নায়িকার ভরাট ঠোঁটে। কাজল ঢাকা চোখের নিচে কিন্তু কালি ঠিকই জানান দিতো – ঘুম হয়না আজকাল। সেও কি আমার কল্পনা প্রসূত ছিলো? আজকের এই ঘটনা আমার কল্পনাতে যেনো ঘি ঢেলে দিলো। সারাটা দিন মাথায় ঘুরছিলো;
“আমি যে জলসা ঘরে বেলোয়ারী ঝাড়,
নিশি ফুরালে কেহ চায়না আমায় জানিগো আর
আমি যে আতর ওগো আতর দানে ভরা
আমারই কাজ হলো যে গন্ধে খুশী রাখা…”
সারাটি জীবন কি তবে আতর হয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন এই সুপারস্টার? স্ত্রী হয়ে যদি সানির মাথা কাটার কারণ মৌসুমী না হয় তাহলে সবার সামনে অন্দরমহলের এই কেচ্ছা তিনি কিভাবে বাইরে আনলেন? আমারতো মনে হয়েছে, এটা জায়েদকে নয় বরং মৌসুমীকে অপদস্ত করে বশ্যতা স্বীকারের চেষ্টা করেছেন ওমর সানী। পৌরুষ্যে ঘা লাগা সানি ভালো করেই জানতেন জায়েদের কিছুই আসবে যাবেনা। কাদা ছোড়া হবে মৌসুমীকে। জায়েদের পাঠানো বার্তা তিনি এবং তার ছেলে কোথায় পেলেন? ম্যসেজ পাঠালেও সেটাতো তার স্ত্রীর ফোনে থাকার কথা। সেটা ছেলে এবং স্বামীর হাতে যায় কিভাবে? ক’দিন আগে সীসা ব্যবসার জন্য ছেলে ফারদিনের ঝামেলায় পড়া, নির্বাচন নিয়ে কুরুক্ষেত্র, জায়েদের পক্ষ নিতে মৌসুমীকে ওমর সানির বাধ্য করা, আরো ভেতরে কত কি আছে কে জানে।
ইউটিউবে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সানি এমনও বলছিলেন, মৌসুমীকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে জায়েদ। সিরিয়াসলি!!!! ঠিক আছে তাও ধরে নিলাম। কিন্তু মৌসুমীর স্টেইটমেন্ট ছিলো খুব ঠান্ডা মাথার,শান্ত,অটল,দৃঢ়। দীর্ঘ অপমানের পুঞ্জিভুত লাভা তাকে কতটা গ্রাস করেছে সেই উচ্চারণ থেমে থেমে তিনি স্পষ্টভাবে করেছেন। এই জাত রুপালী শিল্পী কখনও বেফাঁস আবেগ দেখাননি, উড়নচন্ডি জীবন যাপন করেননি বা করলেও তা নিয়ে আজ অব্দি গসিপ হয়নি। একটি বিষয় বহুবার মিডিয়াতে এসেছে,বহুবার বহু বছর ধরে চর্চা হয়েছে। তা হলো – এই যুগলের শীতল সম্পর্কের কথা। ধরেই নিলাম,মৌসুমী মুক্তি চান। অন্য কারো চোখে তিনি মুগ্ধতা খোঁজেন,কারো আঙুলে নির্ভরতা নিয়ে আকড়ে ধরেন খানিকক্ষন,যাবতীয় দায়িত্বের সব বোঝা ফেলে কাশবনে ছুটে যেতে চান পথের পাঁচালীর উমা হয়ে-এতে দোষের কি আছে!! যে কটু কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, তা ভাষায় প্রকাশের যোগ্য নয়। যে জাতি শিল্পী চেনে না। নায়িকা-মিডিয়ার মেয়ে আর পতিতা যাদের কাছে সমার্থক শব্দ, সেই দর্শকদের জন্য এত আত্মত্যাগ????
জায়েদকে পেতে ওমর সানির ডিপজলের ছেলের বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হলো? গত দুই মাসে কোন ভাবেই জায়েদের টিকির সন্ধান পাওয়া যায়নি? তার এবং ফারদিনের কাছে জায়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রমাণ থাকলে এতো দিন কেনো শিল্পী সমিতির কাছে অভিযোগ পত্র দেয়নি? তারও চেয়ে বড় কথা হলো, যাকে বিরক্ত করা হচ্ছে বলে দাবী তুলেছেন সানি, তিনি তো অভিযোগ করেননি। তাহলে সানি কিভাবে নিশ্চিত হন যে তার স্ত্রীকে বিরক্ত করা হচ্ছে? এর অর্থ হলো, মৌসুমী পরকীয়ায় জড়িয়েছে এটাই ইনিয়ে বিনিয়ে পরোক্ষভাবে ওমর সানি বুঝিয়েছেন। জায়েদের নামে শিল্পী সমিতির কাছে অভিযোগ করেছেন। আর পুরো জাতির কাছে তিনি তার স্ত্রী পরকীয়া করছেন এটা বুঝিয়ে ছেড়েছেন। হায়রে স্বামী। হায়রে পুরুষ। অনেকে আবার বলছেন, মৌসুমীর কিছু সমস্যাতো আছেই। থাকতেই পারে। এটা জেনেই সাধু পুরুষ সানি এত বছর কাটিয়ে দিলে এখন এই বয়সে এসে কি বিগড়ে গেলো??? মা হিসেবে মৌসুমি তো গোল্ডেন মম। আর এই কারণেই থেকে যাওয়া। তাই এই কারণেই হয়তো থেকে যেতেনও। কিন্তু এখন কি হলো? সামান্যতম আত্মমর্যাদা থাকলে তাদের হয়তো আর এক ছাদের নিচের বাসিন্দা থাকা হবেনা। তবে ঐ যে মাতৃত্ব। বোকা নায়িকা যতটা না সুপারস্টার তার চেয়ে বেশী যে মা……।
নারী আজীবন কি নারীই থাকবে? মানুষের মত বাঁচবেনা? পণ্য হয়ে আর কত বিকোবে নিজেকে? মৌসুমীদের বিক্রি করে কত টাকার বাণিজ্য হয় তা হিসেব নেয়ার সময় এসেছে। পোড় খাওয়া জীবনের ওপর চড়া প্রসাধন আর ঝলমলে পোশাক চাপিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্যামেরা লাইট অ্যাকশনের পেছনে ম্যালা কান্না জমে থাকে। কেউ বলেনা। বলা যায় না। বিদ্রোহী শিল্পী মন বড্ড পাগল। মনের ক্ষুধা পেটের ক্ষুধার চেয়েও তীক্ষ্ণ। অভিনয়ের জন্য ঘর ছেড়েছে এমন ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ আছে কিন্তু টাকার জন্য ভাল একটি চরিত্র ছেড়ে দিয়েছে এমন একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে দেখানতো? নেই। এখানে একজন অভিনেতার লড়াইকে সবাই স্যালুট জানালে একজন অভিনেত্রীর লড়াইকে বিছানার মধ্যেই আবদ্ধ করে ফেলতে হবে কেনো? আর একজন অভিনেত্রীর সম্ভ্রম লুটের হাহাকার কতটা মর্মান্তিক হয় তা টিকিট কেটে আড়াই তিন ঘন্টার মজা লুটে নেয়ার দল জানতেও পারবেন না। ওখানেও ঐ পুরুষতান্ত্রিক পৈশাচিকতা আর সামন্তবাদের চাবুকে রক্তাক্ত হয় সুপারস্টার নায়িকারা। হেলাল হাফিজ তাও লিখতে পেরেছিলেন,
ঘরের কষ্ট পরের কষ্ট
পাখি এবং পাতার কষ্ট
দাড়ির কষ্ট
চোখের বুকের নখের কষ্ট
একটি মানুষ খুব নিরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট…
ওমর সানি আর জায়েদরা লাইভে এসে কেউ হার্টের পেশেন্ট কেউ বা রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ, সেটা বুক চিতিয়ে বলতে পারেন। কিন্তু মৌসুমিরা? নিস্পৃহ ধাতব গলায় শুধু এটুকুই বলতে পারেন;আমার কাছে একবার জিজ্ঞাসা করতে পারতো মিডিয়া?? নোনা জলে ফুলে ওঠা চোখ দিয়ে তাকাতেও ভয় পান ক্যামেরার লেন্সে। পাছে ট্রল হয়!! একদিকে কন্টেন্ট মেকারদের মিলিয়ন ভিউ,কোটি ডলারের আয়। আর অন্য দিকে জ্বলতে থাকা নিঃসঙ্গ এক নক্ষত্রের চরিত্রের পোস্টমর্টেম। এই ছবির নাম কি? এপিটাফের ব্যবচ্ছেদ????
ইবতিসাম নাসিম মৌ, সাংবাদিক
( মতামত কলামে প্রকাশিত লেখা লেখকের নিজস্ব মতামত। এজন্য সম্পাদক দায়ী নয় )
অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। খুব ভালো লাগলো ❤️