শিউলী সুকন্যা
টিকেকটা চেক করার জন্য ব্যাগ থেকে বের করল লীলাবতী। একি কান্ড ! সে তো কোন সিট পায়নি ট্রেনে। এতোটা পথ সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাবে কিভাবে? টিকেটটা নেয়ার সময় সে টের পায়নি, কারণ তখন সে কোন ট্রেনে যাবে সেই চিন্তাতেই মগ্ন ছিল।কি আর করা, সে স্ট্যান্ডিং টিকেকটা হাতে নিয়ে চারপাশটা একটু দেখে নিলো। মনে মনে নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে, তার মতো বেকুব আশেপাশে আর কতজন আছে। মজার ব্যাপার হলো সে যখন চারপাশে তাকালো তখন দেখলো কেউ কেউ খুব অবাক আবার কেউ কেউ খুব উৎসাহী দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। লীলা মানুষের এই উৎসাহী এবং অবাক দৃষ্টিটাকে বরাবরই বিরক্ত বা রাগ হওয়ার বদলে উপভোগ করার চেষ্টা করে। যদিও বেশির ভাগ সময় সে সেটা পারেনা। তার কথা কেন মানুষ তার দিকে তাকিয়ে থাকবে? চিড়িয়াখানার জন্তুর মত দেখতে থাকে। মাঝে মাঝে নিজেকে তার এলিয়েনও মনে হয়।
ট্রেনের নাম চট্টলা। আগে এ ট্রেন ছাড়তো বিকেল চারটায়। কয়েক মাস ধরে সময় পরিবর্তন করে বর্তমান সময় মেনে চলছে। চট্টলা নামটা তার পছন্দ হয়েছে আর তাইতো এটা অপেক্ষাকৃত একটু ধীর গতিতে যাবে জেনেও চট্টলা ট্রেনটিকেই সে বেছে নিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আসলে সমস্যাও না কারণ লীলা আজ সময়কে মেনে চলবে না। সময় তাকে মেনে চলবে নীতি মেনে চলছে। ঘড়িতে সময় কেবল নয়টা, তার ট্রেনের সময় দশটা ত্রিশ। তাই তাকে আরও দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা … ব্যাপারটা লীলার জন্য নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। যেন বন্ধুত্ব করেছে শব্দটার সাথে। কখনও বন্ধু বান্ধবির জন্য, কখনও ভাল সময়ের অপেক্ষায়, কখনও দীর্ঘ নির্ঘুম রাতের প্রহর শেষের প্রতীক্ষা। জীবনের প্রতিটি বাঁকেই তাকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে মাঝে মাঝে সে খুব ক্লান্ত হয়।
তবে আজকে সব কিছু ভিন্ন! আজকে তাকে অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু সে করবে না কোন সময়ের অপেক্ষা। সে বসে স্টেশনের মানুষগুলোকে দেখবে। মানুষ দেখার মাঝে সে এক অন্যরকম আনন্দ পায়। এই ভাল লাগার শুরু হয়েছিলো যখন সে স্কুলে পড়ত এবং সে জীবনের প্রথম তার পরিবার ছাড়া মাসের পর মাস একা ছিল। মোবাইলের যুগও ছিলো না যে কারও সাথে যোগাযোগ করবে। তখন তার সময় কাটতো রাস্তায় যাওয়া আসা করা মানুষগুলো দেখে। সারাদিন স্কুল, রান্না-বান্না, পড়ালেখার ফাঁকে তার প্রতিদিনের একমাত্র আনন্দময় সময় ছিল এই মানুষগুলোকে দেখার মধ্যে। এমনকি সে প্রতীক্ষায় থাকতো কখন তার সব কাজ শেষ হবে আর সে রাস্তার ব্যস্ত, উদাসীন, কষ্ট, আনন্দ নিয়ে ছুটে যাওয়া মানুষগুলোর সাথে দুর থেকে একা একায় ভাগ করে নেবে তাদের দুখ-সুখ- কষ্টগুলোকে।
লীলার ঠিক বরাবর সামনের বেঞ্চটাতে একটা ছেলে বসে আছে। লীলা ধারনা করছে ছেলেটার বয়স আনুমানিক পঁচিশ-ছাব্বিশ হবে। সে এই স্টেশনেই থাকে। তার গায়ের অপরিষ্কার কাপড়-চোপড়েই তা স্পষ্ট। লীলা তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে বিশেষ এক কারণে। কারণটা হলো যেখানে সবাই তাকে ঘুরে ঘুরে দেখছে সেখানে এই ছেলেটা তার একেবারে সামনে বসে থাকা সত্ত্বেও একবারও ফিরে তাকায়নি। শুধু তাই নয়, ছেলেটা যেন নিজের মনে নিজের এক আলাদা জগতে স্বপ্ন সাজাতে খুব ব্যস্ত। যার কাছে ট্রেনের এই অস্থিরতা বা চারপাশের কোনকিছুই স্পর্শ করছে না। সে তার অপরিষ্কার এবং শতছিন্ন পোশাকটাকে বারবার খুব গুছিয়ে নিচ্ছে যত্ন সহকারে। হতে পারে সে নেশাখোর অথবা পাগল। কিন্তু কি এসে যায়…! সুখেই তো আছে।পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস সুখ কে নিয়ে। থাকুক বাস্তবতার নাগপাশ থেকে অনেক দূরে।
হঠাৎ দূরে ভিড়ের মাঝে এগারসিন্ধুর শব্দটা শুনে সচেতন হলো লীলা। অভ্যাসবশত এগারসিন্ধুর শব্দটা শুনে সেটার ব্যাপারে জানতে চাইলো তার ঠিক পাশে বসে থাকা ভদ্রলোকের কাছে। যদি এটা অন্য কোন দিন হতো নির্ঘাত সে তার চুল টেনে ছিঁড়ত। ছিঁড়বে নাই বা কেন! ভদ্রলোক তো তাকে পুরোপুরি তাজ্জব করা নিউজ দিয়েছে। এগারসিন্ধুর নামটা যে সে শুনেছে তা ভুল কিছু নয়। কারণ ঈদের জন্য ট্রেন আজ লেট ছিলো। তাই আটটা দশের ট্রেন নয়টা ত্রিশ মিনিটে ছাড়ল। এগারসিন্ধুর মাত্র স্টেশন ছেড়ে গেলো এই খবরটা আজ না শুনে যদি অন্য কোন দিন শুনতো, নির্ঘাত লীলা কাউন্টারের ভদ্রমহিলাকে কিছু বকাঝকা করে আসতো। কিন্তু আজ সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা দিন। আজ লীলা খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে। প্রায় পনের বছর পর আজ সে তার দাদার বাড়িতে যাচ্ছে শুধুই বেড়াতে। তাও আবার অনেকদিন পর খুব আয়েশি ভাবে, সময়ের তোয়াক্কা না করে। আর ট্রেন মিস করার ব্যাপারটাতে তার নিজের ভুমিকাও ছিল।
হ্যাঁ ট্রেনটা সে নিজের দোষেই মিস করেছে। গত কয়েকদিনের টানা পরিশ্রম ও অসুস্থতায় লীলা কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। অফিসের ধরাবাধা নিয়ম মেনে চলা, আর সময়ের মাপঝোঁক করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলো। তার মাঝে গত কিছুদিনের হোম অ্যালোন সিরিজ (বাসায় কেউ না থাকলে লীলা সেটাকে হোম অ্যালোন বিভিন্ন পার্টে ভাগ করে) এর কারণে একাকীত্বে পেয়ে বসেছিলো যেন। তাই গতকাল যখন বাসায় ফিরতে ফিরতে ঘড়ির কাটা রাত ১০টায় পৌঁছে গিয়েছিলো তখনই লীলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ছুটির সাতদিন সে কোন সময় বা কোন নিয়ম মেনে চলবে না। রাত আড়াইটায় যখন সে রান্না বসালো আর তার হাতের বাকি কাজ শেষ করে খেতে খেতে রাত তিনটা পার হয়ে গেল তখন সে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট মুখে পুড়ে অ্যালার্ম না দিয়েই ঘুমুতে গিয়েছিলো। যদিও তার ট্রেন ধরতে হলে ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে সময়মতো উঠতে অ্যালার্ম লাগবে কিন্তু তারপরও সে বিনা অ্যালার্মে ঘুমিয়েছিল। সকালে চোখের পাতা মেলে প্রথমেই যখন মোবাইলে সময় দেখতে গেল তখন ঘড়িতে সাতটা। ঘুম ভাঙার পর অবশ্য সময় নষ্ট করেনি সে। চটপট রেডি হয়ে সকালের স্নিগ্ধ রোদ গায়ে মেখে বের হয়ে পড়েছে। সকালটা খুব সুন্দর ছিল। বাসে বসে তাই ভাবছিল লীলা, প্রতিটা সকাল কি এতো সুন্দর হয় নাকি সে যে সকালগুলোতে বের হয় সেই সকালগুলোই সুন্দর হয়ে যায়!
হঠাৎ লীলাবতী আঁতকে উঠলো !ওমা একী ! চট্টলা ট্রেন তো চলে যাচ্ছে! সে তো ট্রেনে এখনও ওঠেনি। একটু আগে যে দুটো ছেলে মেয়ে তাকে পরামর্শ দিয়েছিল টিটি কে ম্যানেজ করে সিটের ব্যবস্থা করতে তাদেরকেই কেমন যেনএখন আপন আপন লাগছে। লীলা আশেপাশে খুঁজে তাদেরকে পেল কিন্তু তারা তো ট্রেনে চড়ে বসেছে। লীলা আকাশ কুসুম কল্পনা শুরু করেছে… এ যাত্রাও তার দাদাবাড়ি যাওয়া হলোনা ভেবে। ট্রেনের ভেতর তাকিয়ে আরও অবাক হওয়ার পালা! ট্রেনে তো কোন মানুষ নেই সেই দুইজন ছাড়া। লীলা ঘটনা কিছুই বুঝতে পারছে না। কি ঘটছে এসব! ট্রেনের ভাবগতিক তার বেশি সুবিধার ঠেকছে না। ট্রেনের এসব অনাকাঙ্খিত আচরণে লীলা যখন চিন্তার টানাপোড়নে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন সে বুঝতে পারলো আশেপাশে তার শুভাকাঙ্খীর অভাব নেই। এতক্ষণ ধরে যে মানুষগুলো তাকে ঘুর ঘুর করে দেখছিল, শুভাকাঙ্খীরা তাদের মাঝেরই কিছু লোক। সবাই মিলে তাকে সান্ত্বনা, বুদ্ধি, পরামর্শ, উপদেশ আদেশ যাবতীয় বিষয় শিখিয়ে ফেলছে।
লীলা মনে মনে এখন হাসি দিয়ে সবার কথা শুনছে। আর ভাবছে তার অবস্থাটা ঠিক কারিনার “যাব উই মেট” এর ট্রেন মিস করার পরের মুহূর্তটা। “আকেলি লারকি খুলি হুয়ি তিজুরি কি তারহা হোতি হ্যায়।” এবং মজার ব্যাপার এই অতি উৎসাহী মানুষগুলোর জন্যই লীলা জানতে পারলো ট্রেনটা ছেড়ে যাইনি এখনও। ট্রেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে সমস্যা দেখা দিলো অন্য জায়গায়, যেহেতু একবার সে কথা বলেই ফেলেছে তাই এবার অতি উৎসাহীরা প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতে দ্বিধা করছে না। বেচারি লীলাও ভদ্রতার কারণে আর এড়াতে পারছে না তাদের। প্রশ্নের যেন কোন শেষ নেই। যেহেতু কথা বলতেই হবে তাই সে তার চিরাচরিত কাজে মনোযোগ দিলো। সেও পালটা প্রশ্ন করে তাদের খবরাখবর জানা শুরু করলো। জানা বা জানানোর অধিকার তো কেবল একজনের থাকে না, দু পক্ষের ই থাকা উচিত।
লীলার পাশে বসা ভদ্রলোকের নাম দিনার। সে চিটাগং যাবে। ভদ্রলোক তার মতই বিনা সিটের টিকেট পেয়েছেন। তার পাশের ভদ্রলোক বউ কে সাথে নিয়ে বসে আছেন, তিনি যাবেন নোয়াখালিতে। তারা ঈদ ও পূজার ছুটিতে যাচ্ছেন পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে। স্বভাবতই তারা সবাই ভেবেছে লীলা ঈদের জন্য বাড়িতে যাচ্ছে। যখন তারা জানতে পারলো সে ঈদের জন্য নয় এমনিতেই ঘুরতে যাচ্ছে। এক ভদ্রলোক পাশ থেকে বলে উঠলো “আপা দুলাভাই কি করেন?” লোকটার এই পর্যায়ের আন্তরিকতা দেখে লীলার আর বেচারা কে নিরাশ করতে মন চাইলো না। সে বলল “সাংবাদিক”। শুনে দ্বিতীয় ভদ্রলোক উৎসাহের মাত্রা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো “আপার শ্বশুর বাড়ি কই? আর দুলাভাইকে একা রেখে চলে যাচ্ছেন কেন? সেই বা একা ছেড়েছে কেন?” লীলা আবারও জানালো ‘‘পেশাগত কারণে ব্যস্ত থাকায় তাকে একাই যেতে হচ্ছে।”
দুঃখ করতে করতে দ্বিতীয় ব্যক্তি বিদায় নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে উপদেশ দিয়ে গেল “দুলাভাইয়ের সাথেই আপনার আশা উচিত ছিল, মেয়ে মানুষ একা একা চলা রিস্কি”। ভদ্রলোক চলে যেতেই লীলার চাপা হাসিটা মুখে প্রশস্ত হলো। নিজের অভিনয় প্রতিভায়, ঠিক অভিনয় নয় মিথ্যা বলার দক্ষতা দেখে সে মুগ্ধ! সে সহজে মিথ্যা বলতে পারেনা।মিথ্যা বলতে গেলে তার ক্যালানো হাসিটা চলে আসে এবং তার মনে হতে থাকে সবাই তার মিথ্যা ধরে ফেলবে। কিন্তু আজ সে দায়ে পড়ে কি সুন্দর হড়বড় করে মিথ্যা বলে দিলো। মিথ্যা না বলেও উপায় নেই। এর আগে সে সত্য বলে ধরা খেয়েছে। দুরপাল্লার যাত্রায় এক ব্যক্তির বকবকানি শুনে কান ঝালাপালা করতে হয়েছিল। আজ সে যেহেতু একেবারেই অচেনা এক ট্রেনে যাচ্ছে তাই আর কোন রিস্ক নিতে চাচ্ছে না। একবার জানতে পারলেই হলো যে সে এখনও বিয়ের ফাঁসি গলায় দেয়নি তখনি শুরু হবে। লীলা একটা বুদ্ধি বের করলো এখন যদি সে তার পাশের লোকটির সাথে আলাপ জমিয়ে দেয় তাহলে বাকিরা অন্তত পক্ষে চুপ হয়ে যাবে। আর এই ব্যক্তিকে লীলা চাইলেই চুপ করিয়ে রাখতে পারবে, তার এমনটাই মনে হলো।
মোবাইলে আজকেই কেন কম চার্জ এটা ভেবেও সে বিরক্ত হল। গান থাকলে সুন্দর চুপচাপ গান শুনতে পারতো। আর খুব সহজেই সবাইকে এড়ানো যেতো, না শোনার ভান করে। যেহেতু তার মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ চার্জ নেই তাই তাকে পাশের ভদ্রলোকের সাথে কথা বলার অপশনে যেতে হবে। লীলা চুপ করে আবার সেই পাগল ছেলেটার দিকে নজর দিল। সে তার অবস্থান পরিবর্তন করে এখন দাঁড়িয়েছে। দাঁড়িয়ে যেন সে আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে গেল নিজেকে গোছাতে। বারবার অপরিষ্কার অগোছানো পোশাকটাকে ঠিক করে নিচ্ছে যেনো এক্ষুনি যেতে হবে কোন অনুষ্ঠানে। আঠালো উসকো খুসকো চুল গুলো কে হাতে চেপে চেপে আগেকার দিনের নায়কের মতো করে নিচ্ছে। লীলার মনে হতে থাকলো উকুন যেনো বেয়ে বেয়ে পড়ছে ওই আঠলো অপরিষ্কার চুল থেকে। এবার তারও নজর পড়ল লীলাবতীর দিকে এবং দেখার সাথে সাথে এমন একটা ভাব করলো লীলা তাতে চমকে গেলো। খুব অদ্ভুদ একটা চাহনি ছিল, বলে বোঝানোর মতো নয়।
লীলা এবার চোখ ফেরাল। সব দিকের মানুষই খুব কৌতুহল দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। পাশের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ লোকটির দিকে ফিরল তার পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক। তাকাতেই ভদ্রলোক কথা বলে উঠলেন। নাম, পেশা, ফ্যামিলি সব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিল। লীলা একটার উত্তর দেয় তো অন্যটা এড়িয়ে যায়। সময় যেন আর ফুরোয় না। সময়ের সুতো যেন আটকে গেছে। এদিকে লীলার পেটের ভিতর বিড়াল ইঁদুরের দৌড় ঝাপ যেন বেড়েই চলেছে সময়ের সাথে সাথে। তার মাথায় এলো সকাল থেকে এ পর্যন্ত কিচ্ছুটি পেটে পড়েনি। দেখতে দেখতে ট্রেনের সময় হয়ে এলো, কিন্তু সময় পার হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ট্রেন ছেড়ে গেল না। ছাড়বে কি ট্রেন তো এখনও পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করে আসেনি। একসময় অপেক্ষার পালা শেষ হলো। কিছু সময় বিলম্ব করে চট্টলা নামক ট্রেন টি তার যাত্রা শুরু করবে। স্টেশনের স্পিকারগুলোতে সুরেলা কন্ঠে সে সংবাদ জানানো হলো। লীলা পাশের দিনার নামের ভদ্রলোকের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ট্রেনের দিকে এগোলো। ( চলবে)