ঊর্মি চৌধুরী
চেয়েছিলাম তোমার মন আকাশে তুলো মেঘের ভেলা ভাসাবো,মেঘের বাড়ি বানাবো।
মেঘ বাড়ির আঙিনায় হাজারো কথার পাহাড় জমে যাবে,তুষার শুভ্র বালিতে রোদ হেঁটে যাবে,
সোনালী আভাতে ছুঁয়ে যাবে দূরের হিমালয়,
মেঘ বাড়ির ছাদ।
আমাদের ছায়াগুলো কখনও কাটাকুটি খেলবে না,
মাঝে সাঁঝে এক্কা দোক্কা খেলায় ব্যস্ত থাকবে,
চাঁদের বুড়ির সাথেও হবে দারুণ সখ্যতা,
ভাবখানা হবে যেন জোছনা মাখা শরীরে পরীদের নৃত্য।
তুমি চাইলে,ছোট্ট একটা কবিতার শহর হবে
পদ্যের ভাজে ভাজে আমাদের নাম না জানা গল্পেরা
প্রজাপতি হবে,
সুখ খুঁজবে আলোর প্রথম প্রহরে।
রাত দ্বি প্রহরে,অভিমানে ঠোঁট কাঁপিয়ে ভালোবাসাও চেয়ে নিতে পারে।
উল্টোটা যদি হয়,মেঘবাড়ির গায়ে শ্রাবণের বরিষণ।
ধরো,মেঘ পাহাড়ের কোল থেকে তুমি চেয়ে নিলে এক টুকরো নীল মেঘ,আমি অভিমান গলা নদীর মতো ভেসে যাবো দূর দেশের মেঘের রাজ্যে,
না উড়ো মেঘেরা আর ফিরে আসে না,ফিরতি পথে কেউ তারে ডাকে না,
সেও ডাক শুনতে পায় না।
তোমার কবিতার শহরে সেদিন বৃষ্টি হবে।
লাল,নীল,সবুজ রঙের ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি,
সব রঙেই হয়তো বেদনা থাকবে সেদিন,
যদিও বেদনার নিজস্ব কোনো রঙ থাকে না।
ক’দিন সব নিস্তব্ধ,তারপর…
অগোছালো তুমিটা।
বিড়বিড় করে বলি,
মেঘবাড়ির আকাশ,ভিন্ন কোনো সুরে ভিন গাঁয়ে হলেও দেখা হোক আমাদের।