ঊর্মি চৌধুরী
একটা রঙতুলি চাই আমি,চাই কিছু জলরঙ,
আমি,আরেকবার নিজেকে রঙে রাঙাতে চাই।
আলো আঁধারির গল্পের মতো চোখ দুটো রঙ খুঁজে,
রঙের কারুকাজে মন সাজাবে,
উলের বুননের মতো রঙিন সূতোয় বুনে নিবে নিজেকে।
রোজ রোজ এত অভিমানে রাঙা মনটা জানে না অভিমানের কী রঙ!
জানে না প্রাপ্তিতে সুখের রঙ কেমন!
এটা কী বৃষ্টির মতো!অঝোরে ঝরে পড়ার সুখ,
নাকি রঙধনু!প্রিয়কে রঙে স্নাত করার আনন্দ!
অভিযোগে,দ্রোহে পুড়তে পুড়তে বেদনাগুলো নীল হয়,
কষ্টগুলো ভষ্ম হয়,
পুনশ্চ ধোঁয়া ওঠে,
কালো ধোঁয়াশা কী তবে দ্রোহের রঙ!
মিলনে সুখ হয় যদি লালে কিংবা গাঢ় কোনো রঙে,
শুভ্রতা হয় যদি শান্তি পবিত্রতার দূত,
বিচ্ছেদের রঙ কেন সাদা?
অগ্নিমুখো আগ্নেয়গিরি জ্বলে যে রঙের আগুনে,
কমলা রঙের ঊষাতে মন রাঙিয়ে রাঙে যে প্রভাত,
গোধূলিতে ম্লান কেন হবে তবে?
উৎসুক মনটা,ভাবনাতেই চোখের তারায় রামধনু আঁকে,
নরম তুলির আঁচড়ে স্বপ্ন আঁকে,
ভালোবাসার পদচিহ্ন আঁকে প্রেমাকাশের গায়,
পাতার মতো সবুজে মুড়ে নিতে চায়,
মেহেদীর রঙের মতো রাঙাতে চায় আশপাশ,চারপাশ।
চোখ দুটো আজও রঙ খুঁজে,
খুঁজে রঙতুলি,
সাদামাটা মনটা রঙতুলিতে সুখ আলপনায় সাজাবে বাসর,জলরঙে।