ঊর্মি_চৌধুরী
কোথায় শোনা যায় এত এত হুল্লোড়,
কেন বাতাসে আজ এত হিল্লোল,
কেনই বা চঞ্চল পাখিরা গাইছে ভালোবাসার কূজন।
তবে কী বৈশাখ এলোরে ধরায়…..।
এসো তবে আজ নতুন দিনের গানে,নতুনের পথে,
নতুনের সাথে গলাগলি করি।
যা কিছু ছিল পুরাতন,জরাজীর্ণ তারে আজ
পিছু হটিয়ে রাখি,
সম্মুখের পথে,ভালোবাসার হাত ধরে চলি।
এসো,তুমি আমি সবে
ভালোবাসার কথা বলি গানে গানে,
এসো,মাতিয়ে তুলি শিহরিত আবৃত্তিতে।
এসো মিলিত হই দুজনাতে,
ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারে, দৃপ্ত শপথের বাণীতে।
এসো বরণ করি,বরণ ডালা হাতে
নতুন আলো ফোটা ভোর,বৈশাখের প্রথম প্রহর,
কনে দেখা রোদে চোখ রাখি শুভ্র আকাশটায়।
ভোরের পাখির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে নববর্ষের গীত গাই,
নতুনের কপোলে চন্দনের টিপ এঁকে
শিমুল পলাশের রঙে আজ নিজেকে রাঙাই।
মনের মাঝে বেজে উঠুক আজ খুশির বিউগল
এসো হে বৈশাখ,এসো এসো…নতুনের আগমনে।
বিদায়ের সানাইতে মুছে যাক সব না পাওয়ার গ্লানি।
যত ছিল ব্যথা,ভুলেভরা দিনলিপি,ব্যর্থতায় ঢাকা বিরহ
সব,সবকিছুই হোক বিসর্জন,
ডুব দেয়া সূর্যের চাকতিতে,কষ্টের অতীত গহ্বরে।
তারে আজ আর সম্মুখে না আনি।
বিগত দিনের যত অর্জন,ভালোলাগা সবটুকু নতুন সূর্যদোয়ের আলোয় মেলে ধরি,
বৈশাখের সোনারোদে পুড়ে সব খাঁটিসোনা হবে।
আলোর স্ফুলিঙ্গে জ্বলে দ্যুতি ছড়াবে।
ভালোর নির্যাসটুকু ছড়িয়ে দেই তবে,
বৈশাখী উদোম হাওয়াতে,সুবাসিত হবে আগামী।
এসো তবে গুছিয়ে নিই হালখাতা,
এলোরে এলো বুঝি নতুনের আগমনী বার্তা,
চারদিক রঙে রাঙিয়ে দিতে,বৈশাখ এলোরে ধরায়।