ঊর্মি চৌধুরী
আমি এখনও জেগে আছি একাকী, নিস্তব্ধ পথে চেয়ে
মধ্যরাতের নীরবতায়,
ঝিঁঝিঁপোকার সাথী হয়ে,
রূপোলি জোছনার অপরূপ মায়াবী ছায়ায়।
তুমি কভু দেখেছো কিনা জানি না, জোনাকির সঙ্গমের সময়টুকুতে নিশিরাত কী অদ্ভুত সুন্দর দেখায়!
দূরের আকাশটাও নিঃশব্দে জেগে থাকে প্রতিদিন,
আমারই সাথে,
অদৃশ্য মেঘে ছায়া দিয়ে যায়,
চাঁদনী-পসর রাতে হাজার তারার ফুল ফোটায়।
ক্লান্ত হয় না কখনও।
তোমারি নামে রোজ একটা করে চিরকুট লিখি, জমাও করি মনের খাতায়,
পোস্ট করা হয়ে ওঠেনা এখন আর,
ঝরা পাতার অবহেলায়।
ওপাশের কলমে কালি ফুরিয়েছে বহুদিন হয়তো,
নয়তো চিঠি লেখার কাগজটুকু হারিয়ে গেছে
কোনো এক উদাসী মেঘলা দুপুরে,
মনভুলে!!
সময়ের অভাবে হয়তো কেনা হয়নি ফুরিয়ে যাওয়া প্রয়োজনটুকু, সেই কাগজ, কলম, কালি।
হলদে খামের চিঠি আসা থেমে গেছে যবে থেকে,
আমার দেয়া চিঠিগুলো ফিরতি টিকেটে ফেরৎ আসে।
ভাবলাম ঠিকানা বদল হয়েছে,
কিংবা আকাশের রঙের মতো বদলে গেছে মন।
তাই, পোস্ট বক্সের ঠিকানাও ভুলতে বসেছি এখন।
এপাশের আবেগী মন যে চুরি গেছে,
তারে আর খুঁজে পাই না আমি, কনে দেখা আলোতে,
কিংবা মন খারাপের বিকেলে।
কাটাকুটি খেলায় নাটাইয়ের সূতো কেটে মন-ঘুড়ি উড়ে গেছে বহুদূর,
তারে আর ফেরানো যায়নি।
চিঠির জং ধরা বাক্সটি আজও একবার করে হাতড়াই,
বেলায়,অবেলায়।
হয়তো মনের ভুলে, অভ্যেস হয়ে গেছে, তাই।
যদি ট্রাফিকের বে-সুরো বাঁশিতে অসময়ের জ্যাম ছুটে যায়, ভুল করে উড়ে আসে উড়োচিঠি।
তুমি তো জানতে, আমার ঠিকানা বদলের উপায় ছিলো না কখনও।
তখনও নয়, এখনও না।