ঊর্মি চৌধুরী
একটা কমলা রঙের বিকেল ছুঁয়ে গেছে জানালার কার্নিশে,
আমি ক্লান্ত দুপুরকে বিদায় দিয়ে গ্রীলের পাশে দাঁড়িয়ে,
অদ্ভুত সুন্দর লাগছিলো চারপাশ,
মায়াবী লাগছিলো খুব।
এমন হলে আমি নিজেতেই নিজেকে হারাই,আজও ব্যতিক্রম হলো না।
ইচ্ছে করছে বাগানের ঐ মেঠোপথ ধরে,
তুমি আমি হেঁটে যাই দূরে, ঐ দূরে শ্যাম নদীর তীরে,
যেখানে সারি সারি নৌকো বাঁধা থাকে,
সেখানে গিয়েই বসি দুজনে মুখোমুখি,
নয়তো পাশাপাশি,
কথার ফুলঝুরি নাইবা হলো আজ
কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটুক সময়,মৌনতায় হাঁটুক
স্নিগ্ধ বিকেলটা।
ঘাটে তেমন আনাগোনা নেই,পারাপারের ব্যস্ততা নেই,
মাঝি মাল্লার দলের হাঁক ডাকও নেই,
অলস দুপুরের রেশ কাটেনি হয়তো বা।
ঝাঁক বেঁধে পাখিরা উড়ে যাচ্ছে এপার থেকে ওপারে,
ওদের কেউ শঙ্খচিল,
কেউ হয়তো অচেনা পরিযায়ী,নাম জানা নেই।
ওদের ও কী প্রেম হয় এমন নিটোল নীরবতায়!
ওরাও কী আপন মনে ডুবে থাকে ভাবনার অন্তরালে!
সন্ধ্যে ঘনিয়ে এলে কেন এত নীড়ে ফেরার ব্যস্ততা!
শান্ত নদী,টলমলে জল,শীতল হাওয়া আর কমলা রঙের আভা।
আমি আর আমাতে নেই,তোমার চোখেও মুগ্ধতা।
শুধু তুমি আর আমি,কেউ নেই।
চোখের পলক ফেলতেই ফিরে আসি আমি,
সাথে থাকে কিছু এলোমেলো শব্দ একরাশ নিঃসঙ্গতা।
এক মুঠো কমলা রোদ বোতল বন্দী করে নিলাম,
ভাবছি তোমার শহরে পাঠিয়ে দিয়ে বলবো,
আঁধারের গায়ে ছড়িয়ে দিও,
অমাবস্যার রাতে জোনাকি পোকা হবে,
তোমাকে পথ দেখিয়ে সেদিন আমাতে ফেরাবে।
ফিরে এসো প্রিয়,এমনই এক নান্দনিক সময়ে,
একটা কমলা বিকেলে।