0

অপরাজিতার ছোঁয়া

Share

ঊর্মি চৌধুরী

পর্তুলিকার মতো এই এক জীবনে কত চাওয়া পাওয়া আমাদের! ভালোবেসে আগলে রাখি কত আবেগ! মনঘরের চাবি এঁটে রাখি কত! হিসেবের খাতা খুলে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেব কষি কত! অবুঝ মনটা মাঝেমধ্যেই ডুব দেয় অতল সাগরের ভাবনায়,দিগন্তের ওপারে সমানতালে উড়োউড়ি তার। ভাবে বুঝি, কে আমি! আমি কী সবার মতো!

আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখে দিনলিপি শুরু হয় না সবার, তেমনি রোদ্দুরের মাখো মাখো আদরে সব ফুলেরা হেসে উঠে না। জীবন বয়ে চলে তার আপন গতিতে, কভু সোনারোদে চিকচিক করা বালুর মতো,

কভু তীব্র আলোতে ঝলসে যাওয়া আলোমুখী পতঙ্গের মতো,কভু ঝরাপাতার গল্পের মতো। কোথাও পথিকের চোখ আটকে দিয়ে অপরাজিতার দোলনায় দুলে উঠে নীল অপরাজিতা। পথিক লুফে নেয় তার অপরূপ সৌন্দর্য। এমন নীল আলোয় ক্লান্তি দূরে যায় যদি, মুছে যায় যদি ব্যর্থতার গ্লানি, অনায়াসেই কিছু হিসেব চুকে যায় যদি, সুড়ঙ্গ পথে নেমে আসে শান্তির ফল্গুধারা তবে সেই অপরাজিতার গল্পে স্থির হয়ে থাকে চোখ। কভু যদি পথ থেমে যায়, ১৮০ থেকে ৩৬০ ডিগ্রিতে বেঁকে যায় পথ, তবে গন্তব্যে পৌঁছাতে আগাছাদের উপড়ে পথের বাঁকে নতুন পথ খুঁজে নিতে হয় বৈকি। 

শব্দের পর শব্দ জুড়ে দিয়ে ক’টা লাইনে যদি খুঁজে নিই, তবে অপরাজিতার পটভূমি….. 

“শুধু বঞ্চনার ইতিহাস লিখবো বলে তো কলম ধরিনি,

তর্ক বিতর্কে বিতর্কিত হতেও আসিনি,

আমি অনিয়মের বেড়ি কেটে নিয়মের খোঁজ করি,

আমি চোখবুঁজে চলি না,

ঠোঁট কামড়ে থাকি না সবসময়

অধিকার ছিনিয়ে নিতেও কাগজ কুড়োই আমি

আমি শব্দে শব্দেই হৃদয় শাণিত করি।

আমি যে এমনই।

সুরের মূর্ছনায় মাথা দোলাই ঠিকই

সুন্দরে একরাশ মুগ্ধতা আমার,

ধূসর কুৎসিতে মোটেও নিন্দে আসে না,তোমারই জয়ে হিংসিত নই মোটেই।

শাবল দিয়ে আঘাত হানতে পারি না ঠিক,

নির্মল ভালোবাসায় জড়াতে জানি বেশ।

চোখে চোখ রেখে মনের ভাষা পড়ে নিই সহজেই।পরাজয়ের কাজল মেখে চোখ আঁকিনি,

বৃষ্টি ঝরিয়ে কাঁদিওনি

নিন্দার পাহাড় ডিঙিয়ে,

রোদ্দুর ভেজা অপরাজিতা আমি,আমি যে এমনই।”

এরকমই দারুণ ক’টা ধারাবাহিক গল্পের প্লট নিয়ে বরণডালা সাজিয়েছি আজ।

প্রিয় পাঠক, অপরাজিতার ছোঁয়ায় সাদরে আমন্ত্রণ।

নীল আলোয় আলোকিত হোক চারপাশ।