শায়লা শবনম
‘এসো এগিয়ে যাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৮ এপ্রিল, ২০২২ সালে নারীদের জীবনের নানা গল্প নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল যে অনলাইন পোর্টালটি, সেটিই আজ অনেকের ভালোবাসা সিক্ত হয়ে এগিয়ে গিয়েছে খানিকটা । তবে প্রত্যাশিত লক্ষ্যে হয়তো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এখনো। যদিও লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময়টাও খুব বেশি নয়, মাত্র চৌদ্দ মাস। এই চৌদ্দ মাস বা এক বছর দুই মাসে ‘রোকেয়ানামা’ অনেক সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এটা আনন্দের।

রোকেয়ানামাতে যেসব নারীরা লেখালেখি করছেন, তারা ছড়িয়ে আছেন দেশ এবং দেশের বাইরের নানা প্রান্তে। তাদের মধ্যে আছেন সাংবাদিক, লেখক, হোমমেকার, পুলিশ কর্মকর্তা, খেলোয়াড়, উদ্যোক্তা, ব্যাংকার, শিক্ষক, সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে আসা একেকজন লড়াকু নারী। এই যোদ্ধাদের এগিয়ে যাওয়ার গল্প নিয়েই সজ্জিত হয় রোকেয়ানামার পাতা।

তাহলে কি রোকেয়ানামা শুধুই নারীর এগিয়ে যাওয়ার গল্প? একদম না। গল্প, কবিতা, নিবন্ধের মাধ্যমে এখানে উঠে আসে নারীর সমস্যা, নারীর প্রতিবন্ধকতা, নারীর প্রতিকূলতা। একইসাথে সেসব থেকে উত্তরণের দিকগুলো চিত্রিত হয় এখানে। রোকেয়ানামার লেখকরা তাদের দায়িত্বের বিষয়ে কমিটেড।

তারা নিজেরা কণ্টকাকীর্ণ যে পথ পেরিয়ে এসেছেন নিজেদের গল্পের মাধ্যমে সেই পথটা সহজ করার বার্তা পৌঁছে দেন আগামীর কাছে। তাদের দৃঢ়তা আর সাহসিকতার গল্পগুলোই হয়তো অনুপ্রেরণা হয়ে এগিয়ে দেবে নতুন প্রজন্মকে। এই অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে মধ্যবিত্তের সজ্জিত মহল থেকে গল্পগুলো ছড়িয়ে যাবে সমগ্র বাংলাদেশে। সফল, লড়াকু, কিংবা সমাজের নানান প্রতিকূলতায় নারী যোদ্ধাদের জীবনের নানা গল্প উঠে আসবে রোকেয়ানামায়। রোকেয়ানামার সম্পাদক, লেখক এবং এর সাথে জড়িত সবাই সে স্বপ্নই দেখে যায়।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যে নারী শিক্ষা এবং নারীদের নিয়ে লেখালেখির যে সূচনা করেছিলেন আজকের বাংলাদেশের মেয়েরা তার সুফল নিয়ে এগিয়ে এসেছে অনেক সামনে। শুধু দেশেই নয়, তাদের কর্মকাণ্ড আর সাফল্যের গল্প ছড়িয়ে যাবে সমগ্র বিশ্বে, সেই স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছে ‘রোকেয়ানামা’।

সে লক্ষ্যকে আরও কিছুটা দৃঢ় করার মানসে গত ৪ জুন শনিবার কয়েকজন সমবেত হয়েছিলেন রাজধানীর একটি রেস্তোরায়। সেখানে গল্প, আড্ডা, ফটোসেশনের সাথে তৈরি হলো পারস্পরিক সংযোগ। একইসাথে আলোচিত হয়েছে আগামীর করণীয়।

আর রোকেয়ানামার এ আড্ডা ধারাবাহিকভাবে চলতেই থাকবে বিভিন্ন জায়গায়। বাংলাদেশের যে কোন নারী এতে অংশ নিতে পারেন স্বত:স্ফূর্তভাবে। এভাবেই সকলের স্পৃহা, উদ্যোম আর শক্তিময়তায় এগিয়ে যাবে ‘রোকেয়ানামা’ সেই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

শায়লা শবনম
চমৎকার উদ্যোগ। রোকেয়ানামা এভাবেই এগিয়ে যাক আরো আরো সামনে।